দাউদ হলো একটি ছত্রাকজনিত ত্বকের সংক্রমণ যা Dermatophytosis নামে পরিচিত। এটি Trichophyton, Microsporum, এবং Epidermophyton নামক ছত্রাকের কারণে হয়ে থাকে।
১. সংক্রামক রোগ: এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২. ত্বকের সংক্রমণ: শরীরের বিভিন্ন অংশে বৃত্তাকার, লালচে, চুলকানিযুক্ত দাগ দেখা যায়।
৩. ছত্রাকজনিত রোগ: এটি কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত রোগ নয়, বরং ছত্রাকের কারণে হয়ে থাকে।
৪. গরম ও আর্দ্র পরিবেশে বেশি হয়: ঘাম, অপরিষ্কার ত্বক, ও ভেজা কাপড় পরিধান করলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫. মানুষ ও প্রাণী উভয়ের হতে পারে: এটি শুধু মানুষের ত্বকেই নয়, পশুপাখির শরীরেও হতে পারে এবং সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
৬. চর্মরোগের একটি সাধারণ ধরন: এটি হাত, পা, মাথার ত্বক, নখ ও শরীরের অন্যান্য অংশে হতে পারে।
১. প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ: সংক্রমিত ব্যক্তি বা পশুর সংস্পর্শে এলে।
২. ব্যক্তিগত সামগ্রীর মাধ্যমে: পোশাক, চিরুনি, তোয়ালে, বিছানার চাদর ইত্যাদির মাধ্যমে।
৩. নোংরা ও আর্দ্র পরিবেশে: অপরিষ্কার পোশাক ও অতিরিক্ত ঘামের কারণে ছত্রাক সহজেই বৃদ্ধি পায়।
১. লালচে বা গোলাকার দাগ: আক্রান্ত স্থানে প্রথমে গোলাকার বা অনিয়মিত আকারের লালচে দাগ দেখা যায়।
২. চুলকানি: আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড চুলকানি হয়, যা রাতে বেশি অনুভূত হয়।
৩. প্রশস্ত হয়ে যাওয়া: ধীরে ধীরে সংক্রমিত দাগ বড় হতে থাকে এবং মাঝে মাঝখানে স্বাভাবিক দেখাতে পারে, যার ফলে এটি “রিং” বা চাকার মতো দেখায়
৪. চামড়া খসখসে হওয়া: আক্রান্ত স্থানের ত্বক খসখসে হয়ে যেতে পারে এবং কখনও কখনও ফেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে।
৫. স্ক্যাল্পে সংক্রমণ হলে: মাথার ত্বকে সংক্রমণ হলে চুল পড়ে যেতে পারে এবং আক্রান্ত অংশ ফোলা বা পুঁজযুক্ত হতে পারে।